ওয়েব ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে আজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব শান্তি দিবস। যুদ্ধ, হিংসা, হানাহানি বন্ধ করে শান্তির পৃথিবী গড়তে জাতিসংঘ ঘোষিত এ দিবসটি প্রতিবছর ২১ সেপ্টেম্বর বিশ্বজুড়ে পালিত হয়।
চলতি বছর দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য ‘রিকভারিং বেটার ফর অ্যান ইকুইটেবল অ্যান্ড সাসটেইনেবল ওয়ার্ল্ড’ বা ‘একটি স্থিতিশীল ও সমতার বিশ্বের জন্য আরও ভালো অবস্থার পুনরুদ্ধার’।
এ দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে বিশ্ব শান্তি দিবসের ২৪ ঘণ্টা বিশ্বের সব প্রান্তে যুদ্ধবিরতি পালনের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেছেন, এটি এমন একটি দৌড় যা আমরা অর্জন করতে পারি এবং আমাদের অবশ্যই এই প্রতিযোগিতায় জিততে হবে।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘উপকূলীয় অঞ্চল এবং আরও অভ্যন্তরীণ অঞ্চলগুলো ক্রমশই জনবসতিহীন হয়ে পড়ছে এবং লাখ লাখ মানুষ এখান থেকে অন্য কোথাও সুরক্ষা এবং উন্নত জীবন চাইতে বাধ্য হচ্ছে’
‘আমরা জানি যে যুদ্ধমুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলার জন্য অনেক বেশি শান্তির প্রয়োজন। এর অর্থ হলো স্থিতিশীলতা এবংএকটি স্থিতিশীল সমাজ যেখানে প্রত্যেকে নিজের মৌলিক স্বাধীনতা উপভোগ করতে পারে এবং মৌলিক প্রয়োজন মেটাতে যুদ্ধ করার পরিবর্তে সাফল্য অর্জন করতে পারে’।
একটি যুদ্ধমুক্ত, শান্তিময় বিশ্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৮১ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত প্রস্তাব (নম্বর : ৩৬/৬৭) অনুযায়ী প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার বিশ্ব শান্তি দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। পরে ২০০১ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত অপর এক প্রস্তাবের (৫৫/২৮২) আলোকে ২০০২ সাল থেকে প্রতিবছর ২১ সেপ্টেম্বর বিশ্ব শান্তি দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়।
এক বাণীতে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, মানবতার এক সংকটময় মুহূর্তে এ বছর আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস এসেছে। কোভিড-১৯ আমাদের বিশ্বটাকে একেবারে ওলট-পালট করে দিয়েছে। এ অবস্থার মধ্যে সংঘাত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিস্থিতি দিনে দিনে আরও গুরুতর হচ্ছে। অসমতা ও দারিদ্র্য আরও বাড়ছে।
বিশ্ব শান্তি দিবসে জলবায়ু সংক্রান্ত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জাতিসংঘ ২৩ সেপ্টেম্বর একটি জলবায়ু পদক্ষেপ সম্মেলনেরও আয়োজন করেছে।